
বউ–বান্ধবী নিষিদ্ধ-আইপিএলে খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে
- ক্রিকেট
নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজ হারার পর খেলোয়াড়দের জন্য একটা বিধিমালা তৈরি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সেই বিধামালা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য প্রযোজ্য। বিধি অনুযায়ী খেলোয়াড়েরা ম্যাচ এড়াতে পারবেন না, সফরের সময় কত কেজি ওজনের লাগেজ বহন করতে পারেবন, সেই সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সফরের সময় পরিবারের সদস্য বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও বিধিমালা জারি করা হয়েছে।
এবার আইপিএলেও এমন কিছু নিয়ম চালু করেছে বিসিসিআই। ২০২৫ সালের আইপিএলে দলগুলো এবং খেলোয়াড়দের জন্য কী কী নতুন নিয়ম বিসিসিআই চালু করেছে, একনজরে তা দেখে নেওয়া যাক
অনুশীলনের দিনে
১. অনুশীলন এলাকায় দলগুলো দুটি নেট পাবে এবং একটি সাইড উইকেট বরাদ্দ থাকবে। মুম্বাই ভেন্যুর ক্ষেত্রে ম্যাচের দুই দল যদি একই সময়ে অনুশীলন করে, প্রতিটি দল দুটি করে উইকেট পাবে।
২. উন্মুক্ত কোনো নেট পাবে না কোনো দল।
৩. কোনো দল যদি নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুশীলন শেষ করে ফেলে, অন্য দল পিচ ব্যবহারের অনুমতি পাবে না।
৪. ম্যাচের দিনে অনুশীলনের কোনো সুযোগ থাকবে না।
৫. ম্যাচের দিনে কোনো দল মূল মাঠে খেলোয়াড়দের ফিটনেস টেস্ট নিতে পারবে না।
৬. অনুশীলনের দিনে শুধু অ্যাক্রিডেটেড ব্যক্তিরাই ড্রেসিংরুম ও মাঠে থাকতে পারবে। খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্য বা বন্ধুবান্ধবকে ভিন্ন গাড়িতে যাতায়াত করতে হবে। মাঠে খেলোয়াড়দের অনুশীলন তাঁরা দেখতে পারবেন হসপিটালিটি বক্স থেকে।
৭. অনুশীলনে যাওয়ার সময় খেলোয়াড়েরা টিম বাস ব্যবহার করবেন। দল দুই ভাগে ভাগ হয়ে অনুশীলনে যেতে পারে।
৮. অনুশীলনের দিন আর ম্যাচ দিবসে ফিটনেস–সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে দলগুলোর অনুরোধ থাকলে, সেটা ভেন্যু ম্যানেজারকে জানাতে হবে।
ম্যাচের দিনে
১. অ্যাক্রিডিটেশন পাওয়া সব স্টাফকে মাঠে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে যেতে হবে। যদি কেউ ভুল করেন, তাহলে প্রথমবার সতর্ক করে দেওয়া হবে, দ্বিতীয়বার ভুল হলে দলগুলোকে আর্থিক জরিমানা করা হবে।
২. হিটিং নেট দেওয়ার পরও অনেক খেলোয়াড় অনুশীলনের সময় এলইডি বোর্ডে বল মারে। দলগুলোকে এটা এড়াতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৩. এলইডি বোর্ডের সামনে সাপোর্ট স্টাফদের কেউ বসতে পারবেন না। দ্বাদশ খেলোয়াড় তোয়ালে আর পানির বোতল নিয়ে কোথায় বসবেন, সেটা স্পনসর টিম নির্ধারণ করে দেবে।
৪. খেলোয়াড়দের কমলা ও বেগুনি ক্যাপ পরতে হবে। কোনো খেলোয়াড় যদি কোনো কারণে ক্যাপ না পরে, তাহলে অন্তত প্রথম দুই ওভার পর্যন্ত ক্যাপ পরতে অনুরোধ করা হয়েছে।
৫. ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণীতে চপ্পল আর হাতাকাটা জার্সি পরে আসা যাবে না। এটা প্রথমবার না মানলে সতর্ক করে দেওয়া হবে, দ্বিতীয়বার আর্থিক জরিমানা করা হবে।
৬. ম্যাচের দিন মাত্র ১২ জন সাপোর্ট স্টাফকে অ্যাক্রিডিটেশন দেওয়া হবে, এর মধ্যে দলের চিকিৎসকও থাকবেন।